Tuesday, January 31, 2006

বিচ্ছিন্নতা

তাহলে বন্ধু দল বদলের হলো শুরু
তুমি আর আমি এখন ভিন্ন
ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবো যখন
তখন বন্ধু
মনে রেখ আমিও ছিলাম
তোমার সহযোগী
কষ্ট রেখোনা বন্ধু
যা ছিল দোষ সব আমারি
তুমি ছিলে অরুন্ধতী
আশা অনির্বাণ

--২০০৪

Friday, January 27, 2006

হাইপারড্রাইভ-২

১৯৫০ এর দশকে হাইম হাইপারড্রাইভ কনসেপ্ট নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেন । মূলত তার প্রচেষ্টা ছিল কীভাবে কোয়াণ্টাম মেকানিক্স এবং আইনস্টাইন-এর সাধারণ আপেক্ষিকতাকে একীভূত করা যায় । কোয়াণ্টাম তত্ত্ব আণবিক পর্যায়ে ব্যাখ্যা দিতে খুবই সফল, অপরদিকে আপেক্ষিক তত্ত্ব খুবই বৃহত্তর পদার্থের মধ্যকার বল ও তাদের মিথষ্ক্রিয়া (সুনির্দিষ্টভাবে বললে অভিকর্ষ বল) ব্যাখ্যা করতে খুবই সফল । সমস্যা হয় যখন স্পেস(স্থান ) এর সাধারণ গঠন কীরকম তা ব্যাখ্যা করার দরকার হয় তখন ।

সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব মোতাবেক স্পেস-টাইম (স্থান-কাল) একটি সক্রিয় এবং একে অপরের সাথে পরিবর্তনীয় কাঠামো । স্পেস-টাইম এর চারটি মাত্রা আছে (তিনটি স্থান এর জন্য এবং চতুর্থটি কাল এর জন্য) - যা বস্তুর আবির্ভাবের সাথে সাথে বেঁকে যেতে পারে । অন্যদিকে কোয়াণ্টাম তত্ত্ব বলে স্থান একটি অপরিবর্তনীয় কাঠামো যা বস্তুকে তার অবস্থানের সুযোগ করে দেয়, অন্যকথায় বস্তুই হচ্ছে স্থান-এর রূপভেদ ।

প্রাথমিকভাবে হাইম চেষ্টা করেন আপেক্ষিকতার সূত্রগুলো কোয়াণ্টাম বলবিজ্ঞানের কাঠামোতে লিখতে গেলে কি হয় সেটা দেখতে । আইনস্টাইন-র কথামতো অভিকর্ষ বলের উত্‍পত্তি হয় স্থান-কালের মাত্রা থেকে এর সাথে একমত হলেও তিনি প্রস্তাব দেন যে মাত্রা শুধু চারটি নয় বরং আটটি যাদের মিথষ্ক্রিয়ায় সব মৌলিক বলের উত্‍পত্তি । পরে অবশ্য তিনি এর থেকে দুটো মাত্রা বাদ দেন ই বিশ্বাস থেকে যে এই দুটো কোনো আলাদা বলের উত্‍পত্তি করে না ।

হাইমের এই ৬ মাত্রার জগতে অবশ্যই অভিকর্ষ আর তড়িত্‍-চুম্বকিয় বল পরস্পর সম্পর্কযুক্ত । এটা অবশ্য আমাদের চতুর্থ মাত্রার জগতেই আমরা লক্ষ্য করি যখন ইলেকট্রনের মত কণার কার্যক্রিয়া ব্যাখ্যা করার দরকার হয় তখন । ইলেকট্রনের ভর এবং চুম্বকত্ত দুইই আছে যার কারনে অভিকর্ষ বলের টানে ইলেকট্রনের যে গতি তৈরি হয় তাইই আবার চৌম্বক ক্ষেত্রের উত্‍পত্তিতে ভূমিকা রাখে । অন্যদিকে একটি তড়িত্‍-চুম্বকিয় ক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন কে সচল করা হলে এটা আসলে এর ভরের সাথে সাথে অভিকর্ষ ক্ষেত্রকেও সরিয়ে নিতে থাকে । কিন্তু চতুর্মাত্রার জগতে এটা জানা আছে যে শুধু তড়িত্‍-চুম্বকিয় ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করেই মাধ্যাকর্ষণ বলের ভূমিকা একদম নিষ্ক্রিয় করে ফেলা সম্ভব না ।

হাইম-এর ৬ মাত্রার জগতে এই প্রতিবন্ধক আর থাকেনা । তাই তিনি বলেন যে অভিকর্ষ কি তড়িত্‍-চুম্বকিয় বলে এবং বিপ্রতীপ পরিবর্তন সম্ভব যাতে একটি ঘূর্ণায়মান তড়িত্‍-চুম্বকিয় ক্ষেত্রে অভিকর্ষ বল একেবারে শূন্যতে নামিয়ে আনা যাবে এবং চাইলে মহাকাশযানকে বিনা বাঁধায় মহাশূন্য যাত্রাও করানো যাবে । :D অবশ্যই এর জন্য আপনাকে যথেষ্ট শক্তিশালী তড়িত্‍-চুম্বকিয় ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে, আশা করা যায় এটা করতে রকেট ফুয়েল এর চেয়ে অনেক কমই খরচ হবে ;) আর হুঁউউউউশ, হা মহাশুন্য পারি দিতে সময় যে লাগবে না সেটা তো উপরি পাওনা হবে কি বলেন ?

Tuesday, January 24, 2006

হাইপারড্রাইভ-১

হাইপারস্পেস, হাইপারড্রাইভ এই শব্দগুলো আজগুবিই মনে হতো । আজকে NewScientist এর ৭ জানুয়ারি সংখ্যাটি পড়ে মনে হচ্ছে এগুলো একেবারে ছেলেভুলানো শব্দ নয় । জার্মান বিজ্ঞানী বুর্কহার্ড হাইম (Burkhard Heim) (আমার ধারণা উনার কাছ থেকেই হাইপারস্পেস, হাইপারড্রাইভ এই শব্দগুলোর উত্‍পত্তি) ১৯৫০ এর দশকেই এই ধারণাগুলো তাত্ত্বিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেন ? (:O:O:O) । আমি বিজ্ঞানের ছাত্র হবার পরেও এতো আশ্চর্য আগে আর হইনি ।

এখন আমি একটু এই কনসেপ্টটা এখানে ব্যাখ্যা করবো বাংলাদেশি ছাত্রদের হয়তো কাজে আসবে । (:( যে যুগ পড়েছে, মনে হয়না কেউ বাংলায় তাও আবার বিজ্ঞানের বিষয় পড়তে আগ্রহী হবে, যাই হোক আমি ই ব্যাপারে হাইম-এর অনুসারী হওয়াই ভালো মনে করি । হাইম ইংরেজী শেখেননি কখনোই কারণ উনি চাননি তার কাজ বিদেশীদের হাতে চলে যাক, আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে উনার এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো উনি কোনো প্রচলিত peer-reviewed জার্নালেও পাবলিশ করেননি । হাইম তার জীবনে একটিই peer-reviewed জার্নাল পাবলিকেশন করেছেন ১৯৭৭ সালে তাও ম্যাক্স প্ল্যাংক ইন্সটিটিউট এর Zeitshrift fur Naturforschung এ)

Tuesday, January 17, 2006

অস্ট্রেলিয়াতে ড্রাইভিং

এখনি প্রায় ৫০ কিলোমিটার ড্রাইভিং করে এলাম । অবিশ্বাস্য সুন্দর দৃশ্য । মনে হয় হেভেন এখানেই । আচ্ছা আমাদের দেশের গাছপালা, নদী, আকাশ তো আরো বেশী সুন্দর । আমরা কেনো পারিনা ওদের মতো সাজিয়ে রাখতে । অনেকে অবশ্য বলতে চান জনসংখ্যা কম হলে আমরাও পারতাম । আমি মনে করি না ।

আসলে আমরা কিছু উদ্দেশ্য সাধনে ব্যর্থ । আমরা কখনোই একটা লক্ষ্যে স্থির থাকতে পারি না । একই কাজ আমরা করেই যাচ্ছি ।

বাংলাদেশে গিয়ে মনে হলো পুরো ঢাকা শহরই একটা কনস্ট্রাকশন সেণ্টার । সব জায়গায়ই কাজ চলতেছে । কাজ হচ্ছে ভালো কিন্তু আমরা কেন একই কাজ বারবার করি । আমাদের প্ল্যানিং এর বড় অভাব । হবে নাই বা কেন । সব লেখাপড়া জানা শিক্ষিত লোকেরা নিজের ধান্দায় ব্যস্ত । আমার মেজাজ ঠিক থাকেনা যখন দেখি অশিক্ষিত কিছু গারমেণ্টস কর্মীরাও নিজের কাজটা ঠিকমতোই করে আর তথাকথিত শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী আর সমাজের কর্তারা সব তৈলমর্দন আর তৈল অর্জনে ব্যস্ত । এদেরকে যদি বঙ্গপসাগরে ছুড়ে ফেলা যেত একদিনেই আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যেতাম ।


স্বপ্নলোকের যাত্রা

অবশেষে আমিও ব্লগের রাজ্যে মানে স্বপ্নলোকে লেখা শুরু করলাম । আশা করছি অনেক অনেক লিখব । মনের আঁশ মিটিয়ে লেখা । কতদিন লেখালেখি করছি না । ইস ।