বিচ্ছিন্নতা
তাহলে বন্ধু দল বদলের হলো শুরু
তুমি আর আমি এখন ভিন্ন
ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবো যখন
তখন বন্ধু
মনে রেখ আমিও ছিলাম
তোমার সহযোগী
কষ্ট রেখোনা বন্ধু
যা ছিল দোষ সব আমারি
তুমি ছিলে অরুন্ধতী
আশা অনির্বাণ
--২০০৪
তাহলে বন্ধু দল বদলের হলো শুরু
১৯৫০ এর দশকে হাইম হাইপারড্রাইভ কনসেপ্ট নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেন । মূলত তার প্রচেষ্টা ছিল কীভাবে কোয়াণ্টাম মেকানিক্স এবং আইনস্টাইন-এর সাধারণ আপেক্ষিকতাকে একীভূত করা যায় । কোয়াণ্টাম তত্ত্ব আণবিক পর্যায়ে ব্যাখ্যা দিতে খুবই সফল, অপরদিকে আপেক্ষিক তত্ত্ব খুবই বৃহত্তর পদার্থের মধ্যকার বল ও তাদের মিথষ্ক্রিয়া (সুনির্দিষ্টভাবে বললে অভিকর্ষ বল) ব্যাখ্যা করতে খুবই সফল । সমস্যা হয় যখন স্পেস(স্থান ) এর সাধারণ গঠন কীরকম তা ব্যাখ্যা করার দরকার হয় তখন ।
হাইপারস্পেস, হাইপারড্রাইভ এই শব্দগুলো আজগুবিই মনে হতো । আজকে NewScientist এর ৭ জানুয়ারি সংখ্যাটি পড়ে মনে হচ্ছে এগুলো একেবারে ছেলেভুলানো শব্দ নয় । জার্মান বিজ্ঞানী বুর্কহার্ড হাইম (Burkhard Heim) (আমার ধারণা উনার কাছ থেকেই হাইপারস্পেস, হাইপারড্রাইভ এই শব্দগুলোর উত্পত্তি) ১৯৫০ এর দশকেই এই ধারণাগুলো তাত্ত্বিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেন ? (:O:O:O) । আমি বিজ্ঞানের ছাত্র হবার পরেও এতো আশ্চর্য আগে আর হইনি ।
এখনি প্রায় ৫০ কিলোমিটার ড্রাইভিং করে এলাম । অবিশ্বাস্য সুন্দর দৃশ্য । মনে হয় হেভেন এখানেই । আচ্ছা আমাদের দেশের গাছপালা, নদী, আকাশ তো আরো বেশী সুন্দর । আমরা কেনো পারিনা ওদের মতো সাজিয়ে রাখতে । অনেকে অবশ্য বলতে চান জনসংখ্যা কম হলে আমরাও পারতাম । আমি মনে করি না ।
আসলে আমরা কিছু উদ্দেশ্য সাধনে ব্যর্থ । আমরা কখনোই একটা লক্ষ্যে স্থির থাকতে পারি না । একই কাজ আমরা করেই যাচ্ছি ।
বাংলাদেশে গিয়ে মনে হলো পুরো ঢাকা শহরই একটা কনস্ট্রাকশন সেণ্টার । সব জায়গায়ই কাজ চলতেছে । কাজ হচ্ছে ভালো কিন্তু আমরা কেন একই কাজ বারবার করি । আমাদের প্ল্যানিং এর বড় অভাব । হবে নাই বা কেন । সব লেখাপড়া জানা শিক্ষিত লোকেরা নিজের ধান্দায় ব্যস্ত । আমার মেজাজ ঠিক থাকেনা যখন দেখি অশিক্ষিত কিছু গারমেণ্টস কর্মীরাও নিজের কাজটা ঠিকমতোই করে আর তথাকথিত শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী আর সমাজের কর্তারা সব তৈলমর্দন আর তৈল অর্জনে ব্যস্ত । এদেরকে যদি বঙ্গপসাগরে ছুড়ে ফেলা যেত একদিনেই আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যেতাম ।