Saturday, August 04, 2007

"এতদিন ছোট ছোট বিল্ডিং ভাঙছি। এখন এতবড় একটা বিল্ডিং ভাঙার কাজ করতে পাইরা খুবই ভালো লাগছে।"

এটা র‌্যাংগস ভবন ভাঙ্গার কাজে অংশগ্রহনকারী জনৈক মফিজ শ্রমিক এর উক্তি ।এর মাধ্যমে শুধু তার অন্তরের বাসনাই না, অনেক সংখ্যক সাধারণ মানুষের মনোভাব ও প্রকাশ পেয়েছে । যতদিন বড় অন্যায়কে পশ্রয় দেয়া হবে ততদিন সুবিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব না । যদিও এর বিপক্ষে অনেকেই যুক্তি দিচ্ছেন এতে দেশের সম্পদ নষ্ট হচ্ছে তবে এটা ভবিষ্যতের জন্য একটা শিক্ষা হয়ে থাকবে আশা করছি ।

আরেকটা বিষয় আমাকে ভাবাচ্ছে, তা হচ্ছে রাজউক নিজেই ছিল এইসব অনষ্টের মূলে । বলতে গেলে সকল বিল্ডিং ই অবৈধ । কেউ বলবেন কি ঘুষ না দিয়ে কেউ কোন প্ল্যান পাস করাতে পেরেছেন কিনা । আর তাহলে ঘুষের ঐ প্ল্যানকে আসলে কি অবৈধ বলা হবেনা ?

আপাতঃ ভাবে এটাকে একটা সিম্বলিক ধ্বংস বলেই আমি সমর্থন করি । অন্যথায় ঢাকাতে দাড়িয়ে থাকার মত কোন বিল্ডিং আর পাওয়া যাবে না :) .

Thursday, June 08, 2006

ক্যাকটাস ফুল


এটা আমাদের বাসায় ফুটেছে । একরাত স্থায়ী হয় ফুলটি, অনেকটা নাইট কুইন ফুলের ধরণ । ক্যাকটাসটি কিন্তু বেশ ছোট । ফুলটি বরং আকারে গাছের চেয়ে বড় ।



Friday, March 03, 2006

ছড়া ( শিশুতোষ )

আমার ভাগ্নী পাঠাল :) কেবল শিখল তো

ঝাউয়ের শাখায় শন শন শন
মাটিতে লাটিম বন বন বন
বাদলার নদী থৈ থৈ থৈ
মাছের বাজার হৈ হৈ হৈ ।
ঢাকিদের ঢাক ডুম ডুমা ডুম
মেঘে আর মেঘে গুড়ুম গড়ুম
দুধকলা ভাত সড়াত সড়াত
আকাশের বাজ চড়াত্‍ চড়াত্‍।

Wednesday, February 01, 2006

বিদ্রোহী

আমি দ্রোহী আমি ঘুনপোকা
সক্ষণ চর্বণে করি আমি চূরমার
যত অক্ষয় আসবাব
আমি মানি নাকো কোনো আইন
গারদের সব কপাট আমি করি লোপাট
আমি রাক্ষস আমি ভীম
আমি অক্ষয় আমি রুদ্র
আমি চিরতরুন, ভাঙাগড়ার খেলায় উন্মত্ত
এক অসীম ত্রাস

আজ করবো সব লোপাট
যত বর্বরতার, যত হায়েনার হাসি
আজ হবে নিশ্চিহ্ন
সব নিষ্ঠুরতার আমি করব আজ নিপাত
সব অবিচারের আজ হবে রে বিচার
আমি পেয়ে গেছি আজ খোদার খোদকারী
যত ধনলোভী শকুনের আজ দিন সর্বনাশী ।

--২০০৫

Tuesday, January 31, 2006

বিচ্ছিন্নতা

তাহলে বন্ধু দল বদলের হলো শুরু
তুমি আর আমি এখন ভিন্ন
ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবো যখন
তখন বন্ধু
মনে রেখ আমিও ছিলাম
তোমার সহযোগী
কষ্ট রেখোনা বন্ধু
যা ছিল দোষ সব আমারি
তুমি ছিলে অরুন্ধতী
আশা অনির্বাণ

--২০০৪

Friday, January 27, 2006

হাইপারড্রাইভ-২

১৯৫০ এর দশকে হাইম হাইপারড্রাইভ কনসেপ্ট নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেন । মূলত তার প্রচেষ্টা ছিল কীভাবে কোয়াণ্টাম মেকানিক্স এবং আইনস্টাইন-এর সাধারণ আপেক্ষিকতাকে একীভূত করা যায় । কোয়াণ্টাম তত্ত্ব আণবিক পর্যায়ে ব্যাখ্যা দিতে খুবই সফল, অপরদিকে আপেক্ষিক তত্ত্ব খুবই বৃহত্তর পদার্থের মধ্যকার বল ও তাদের মিথষ্ক্রিয়া (সুনির্দিষ্টভাবে বললে অভিকর্ষ বল) ব্যাখ্যা করতে খুবই সফল । সমস্যা হয় যখন স্পেস(স্থান ) এর সাধারণ গঠন কীরকম তা ব্যাখ্যা করার দরকার হয় তখন ।

সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব মোতাবেক স্পেস-টাইম (স্থান-কাল) একটি সক্রিয় এবং একে অপরের সাথে পরিবর্তনীয় কাঠামো । স্পেস-টাইম এর চারটি মাত্রা আছে (তিনটি স্থান এর জন্য এবং চতুর্থটি কাল এর জন্য) - যা বস্তুর আবির্ভাবের সাথে সাথে বেঁকে যেতে পারে । অন্যদিকে কোয়াণ্টাম তত্ত্ব বলে স্থান একটি অপরিবর্তনীয় কাঠামো যা বস্তুকে তার অবস্থানের সুযোগ করে দেয়, অন্যকথায় বস্তুই হচ্ছে স্থান-এর রূপভেদ ।

প্রাথমিকভাবে হাইম চেষ্টা করেন আপেক্ষিকতার সূত্রগুলো কোয়াণ্টাম বলবিজ্ঞানের কাঠামোতে লিখতে গেলে কি হয় সেটা দেখতে । আইনস্টাইন-র কথামতো অভিকর্ষ বলের উত্‍পত্তি হয় স্থান-কালের মাত্রা থেকে এর সাথে একমত হলেও তিনি প্রস্তাব দেন যে মাত্রা শুধু চারটি নয় বরং আটটি যাদের মিথষ্ক্রিয়ায় সব মৌলিক বলের উত্‍পত্তি । পরে অবশ্য তিনি এর থেকে দুটো মাত্রা বাদ দেন ই বিশ্বাস থেকে যে এই দুটো কোনো আলাদা বলের উত্‍পত্তি করে না ।

হাইমের এই ৬ মাত্রার জগতে অবশ্যই অভিকর্ষ আর তড়িত্‍-চুম্বকিয় বল পরস্পর সম্পর্কযুক্ত । এটা অবশ্য আমাদের চতুর্থ মাত্রার জগতেই আমরা লক্ষ্য করি যখন ইলেকট্রনের মত কণার কার্যক্রিয়া ব্যাখ্যা করার দরকার হয় তখন । ইলেকট্রনের ভর এবং চুম্বকত্ত দুইই আছে যার কারনে অভিকর্ষ বলের টানে ইলেকট্রনের যে গতি তৈরি হয় তাইই আবার চৌম্বক ক্ষেত্রের উত্‍পত্তিতে ভূমিকা রাখে । অন্যদিকে একটি তড়িত্‍-চুম্বকিয় ক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন কে সচল করা হলে এটা আসলে এর ভরের সাথে সাথে অভিকর্ষ ক্ষেত্রকেও সরিয়ে নিতে থাকে । কিন্তু চতুর্মাত্রার জগতে এটা জানা আছে যে শুধু তড়িত্‍-চুম্বকিয় ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করেই মাধ্যাকর্ষণ বলের ভূমিকা একদম নিষ্ক্রিয় করে ফেলা সম্ভব না ।

হাইম-এর ৬ মাত্রার জগতে এই প্রতিবন্ধক আর থাকেনা । তাই তিনি বলেন যে অভিকর্ষ কি তড়িত্‍-চুম্বকিয় বলে এবং বিপ্রতীপ পরিবর্তন সম্ভব যাতে একটি ঘূর্ণায়মান তড়িত্‍-চুম্বকিয় ক্ষেত্রে অভিকর্ষ বল একেবারে শূন্যতে নামিয়ে আনা যাবে এবং চাইলে মহাকাশযানকে বিনা বাঁধায় মহাশূন্য যাত্রাও করানো যাবে । :D অবশ্যই এর জন্য আপনাকে যথেষ্ট শক্তিশালী তড়িত্‍-চুম্বকিয় ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে, আশা করা যায় এটা করতে রকেট ফুয়েল এর চেয়ে অনেক কমই খরচ হবে ;) আর হুঁউউউউশ, হা মহাশুন্য পারি দিতে সময় যে লাগবে না সেটা তো উপরি পাওনা হবে কি বলেন ?

Tuesday, January 24, 2006

হাইপারড্রাইভ-১

হাইপারস্পেস, হাইপারড্রাইভ এই শব্দগুলো আজগুবিই মনে হতো । আজকে NewScientist এর ৭ জানুয়ারি সংখ্যাটি পড়ে মনে হচ্ছে এগুলো একেবারে ছেলেভুলানো শব্দ নয় । জার্মান বিজ্ঞানী বুর্কহার্ড হাইম (Burkhard Heim) (আমার ধারণা উনার কাছ থেকেই হাইপারস্পেস, হাইপারড্রাইভ এই শব্দগুলোর উত্‍পত্তি) ১৯৫০ এর দশকেই এই ধারণাগুলো তাত্ত্বিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেন ? (:O:O:O) । আমি বিজ্ঞানের ছাত্র হবার পরেও এতো আশ্চর্য আগে আর হইনি ।

এখন আমি একটু এই কনসেপ্টটা এখানে ব্যাখ্যা করবো বাংলাদেশি ছাত্রদের হয়তো কাজে আসবে । (:( যে যুগ পড়েছে, মনে হয়না কেউ বাংলায় তাও আবার বিজ্ঞানের বিষয় পড়তে আগ্রহী হবে, যাই হোক আমি ই ব্যাপারে হাইম-এর অনুসারী হওয়াই ভালো মনে করি । হাইম ইংরেজী শেখেননি কখনোই কারণ উনি চাননি তার কাজ বিদেশীদের হাতে চলে যাক, আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে উনার এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো উনি কোনো প্রচলিত peer-reviewed জার্নালেও পাবলিশ করেননি । হাইম তার জীবনে একটিই peer-reviewed জার্নাল পাবলিকেশন করেছেন ১৯৭৭ সালে তাও ম্যাক্স প্ল্যাংক ইন্সটিটিউট এর Zeitshrift fur Naturforschung এ)