বিদ্রোহী
আমি দ্রোহী আমি ঘুনপোকা
সক্ষণ চর্বণে করি আমি চূরমার
যত অক্ষয় আসবাব
আমি মানি নাকো কোনো আইন
গারদের সব কপাট আমি করি লোপাট
আমি রাক্ষস আমি ভীম
আমি অক্ষয় আমি রুদ্র
আমি চিরতরুন, ভাঙাগড়ার খেলায় উন্মত্ত
এক অসীম ত্রাস
আজ করবো সব লোপাট
যত বর্বরতার, যত হায়েনার হাসি
আজ হবে নিশ্চিহ্ন
সব নিষ্ঠুরতার আমি করব আজ নিপাত
সব অবিচারের আজ হবে রে বিচার
আমি পেয়ে গেছি আজ খোদার খোদকারী
যত ধনলোভী শকুনের আজ দিন সর্বনাশী ।
--২০০৫
4 Comments:
কবির নামটা লিখলে মনে হয় ভাল হত।
মোস্তফা জব্বর ও আগামী প্রকাশনীর ওসমান গনি গং
বাংলা আকাদেমীর আগামী প্রকাশনার স্টলে কলীগকে নিয়ে ঢু মারতে গেলাম জব্বর ডাইনোসরাসের বই দেখতে। তার বই কিনতে হলে তা কেবল তার মিথ্যাচারের রেফারেন্স হিসেবেই কেনা যায়। তার একটা বইয়ের নাম দেখে একটু উচ্চস্বরে বলে ফেল্লাম 'তিনি উপন্যাস ও লেখেন?'
তাতেই ঘটলো ঘটনাটাঃ
ওসমান গনি গং এর একজনের সাথে একটু তর্ক হল। স্বভাবত ই তিনি রেগে গেলেন। একে
মোস্তফা জব্বর তার ওপর প্রকাশনী তার ওপর আগামী বলে কথা। ওসমান গনি সাহেবের ভাত রুটি বর্ধনে জব্বর সাহেবের চুরি করা বাংলা সফট ওয়্যার 'বিজয়' অনেক অবদান রেখেছে। তিনি কেন জব্বরের নামে সত্য কথায় কান দেবেন?
আমরা গনি সাহেবকে ওখানে দেখিনি, তিনি নুকিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন এবং ক্ষেপেওছেন।
আমরা তার গং'এর একজনের সাথে ফালতু তর্ক না করেই ফিরে যাচ্ছিলাম। কিন্তু নিজেকে স্বমহিমায় হাজির করলেন গনি সাহেব। তিনি 'হ্যালো' বলে ডাকলেন। গেলাম তার কাছে। সালাম দিলাম এবং তার বইএর তালিকা চাইলাম যেটা তিনি সিডি তে আমাকে দেবেন বলে ১৬ দিন থেকে বলছেন। তিনি বল্লেন বাংলা বাজারের অফিস থেকে তার উপস্থিতিতে সিডিটা তুলে নিতে। আমরা তাকে ফোন করে সেখনে যাবো বলে চলে যাচ্ছিলাম।
পেছনে ফিরে দেখি কলীগ তাকে ইউনিকোড বোঝানোর চক্রে পড়ে গ্যাছে। প্রমাদ প্রমাদ। প্রমোদ
প্রমোদ।
এক পর্যায়ে জব্বর সাহেবের সাহিত্যের ছাত্রত্ব উজাড় হলো। তিনি কেন সাহিত্য করতে পারবেন
না তার জবাব পেলাম। তার ৭১'এর জন্য আমরা আজকে মুক্ত বাতাস নিতে পারছি বলে গাল দেয়া হল। কলীগটি বলে ফেল্ল তার ৭১'এর কাহিনী তো রেটরিক! ব্যাস আর যায় কই।
৭১ রেটরিক হ্যা? ৭১ রেটরিক?
না, জব্বরের ৭১ রেটরিক। এই ছিল কলীগের উত্তর।
এই পর্যায়ে গং এর মোহন রাইহান সাহেব থুতু ছিটিয়ে কাগজ কলম নিয়ে আমার ঠিকানা ও নাম লিখতে গেলে আমি ভুল ঠিকানা আর নাম দিয়ে দেই। তিনি কাপতে কাপতে তাই লিখে নেন এই বলে যে জব্বর সাহেবকে নিয়ে তিনি আমার অফিসে আসবেন এবং গনি সাহেবের কথা অনুসারে তারা প্রয়োজনে আমাকে মারবেন। কেন?
আমি বলেছিলাম জব্বর সাহেব লাইসেন্স ছাড়া কিছু নিরীহ বিজয় ব্যবহারকারীকে লোক পাঠিয়ে
পিটিয়েছিলেন। এবং তর্কের খেই রাখতে যেয়ে গনি সাহেব স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে তার
বইও যদি কেউ নকল করে তবে তিনিও লোক পাঠিয়ে তাকে মারবেন। আর আমি কেবল
বলেছিলাম তিনি তা করতে পারেন না। কারন সেটা সন্ত্রাসী কাজ। কি পরিমানে ক্ষেপতে পারেন
তিনি এতে তা আমি কল্পনা করতে পারি। তিনি আমাকে রাবিশ বলে আখ্যাইত করলেন।
আমি না ক্ষেপে তাকে শুধু বল্লাম 'আপনি তো জব্বরের বন্ধু'।
তারপর আমি রেগে গেলাম যখন কলীগটিকে চাপানো হচ্ছিল। ফিরে যাওয়ার সময় আরেকজনের
থেকে শেখা মোক্ষম কথাটা তার বিপরীতে ছুড়ে দিলাম, হ্যা ছুড়লাম এবং লাগলোও। তিনি
চিতকার করে বলতে লাগলেন 'আমি ছাগল? ঐ ধর ধর।'
হাহ! তিনি বা তার গং আমাদের ধরতে আসেননি।
তাদের সেই নীতিগত ভিত্তি ছিল না। আর আমরাও ছুটে পালাতে চেষ্টা করিনি। কারন আমরা
কোনো অন্যায় করিনি। বাইরে এসে আমাদের গংকে যখন সব বল্লাম তখন সবাই খুবই
আফসোস করলো ঘটনাটা দ্রুত ঘটে যাবার জন্য।
আমার কলীগের মূল বক্তব্য ছিল জব্বর সাহেব বাংলা কম্পিউটিংয়ের উত্তরনের পক্ষে বাধার
মত। গনি সাহেব বলছিলেন আমরা কেনো জব্বর সাহেবকে ছাড়িয়ে নতুন কোনো কিছু করছি
না। আমার কথা ছিল জব্বর সাহেব এত মিডিয়া পেলে আর এত মিথ্যা ভাবে নিজের কথা
বল্লে নতুন যারা আসছে তারা ভুল সিদ্ধান্তে ঘুরপাক খাবে। যেমন তিনি দেড় বছর আগে
ইউনিকোডের বিরুদ্ধে কথা বল্লেও এই ২১শে ফেব্রুয়ারী বিটিভি'র এক সাক্ষাতকারে তিনি
বল্লেন যে তিনি অনেক যুদ্ধ করে ইউনিকোডে 'ক্ষন্ড ত, দাড়ী, ও দুই দাড়ী' জয় করে
এনেছেন। আরেকটা ৭১'এর অর্জনের মতই তা তার কাছে গৌরবকর। আমি মাথা চুলকালাম।
তিনি আরো বল্লেন যে এখনো 'অন্তস্থঃ ব' নিয়ে তিনি যুদ্ধ করে যাচ্ছেন।
আমরা ঐ অক্ষরটা আর ব্যভার কি করি?
আরেকটা ব্যাপার তিনি বোঝেননি যে এখন বই কেবল কাগজেই ছাপা হয় না। তার ওপর
মোস্তফা জব্বর সাহেবের চাইতে ভাল কিছু দিয়ে তার ব্যবসার ভাগ চাইতে আমার নোলা সক
সক করে না। তবে কাজটা অসম্ভবও না।
তারপর তিনি যা বল্লেন তা হল যেহেতু ইউনিকোডে এখন অনেক বেশী অক্ষর রাখা যায় তাই
তিনি সবগুলো যূক্তাক্ষরকে একটা করে স্বতন্ত্র অক্ষরের মানে উত্তরন ঘটাবেন। আমি আলপনার
কথা ভেবে হাসলাম এবং কাদলাম। না ফাজলামী না। আলপনার ইউনিকোড কী বোর্ড লে
আউটের পিডিএফ কারো দরকার লাগলে বলতে পারেন। আর এই পাতায়
http://www.unicode.org/onlinedat/resources.html বিজয়ের নাম দেখতে পেলে জানাবেন নিশ্চই নিশ্চুপে।
তার হাত ব্যাথার হাত, তার হাত লাঠির হাত।
**চন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশীরা অত ব্যবহার করে না, তাই...
collected from internet
বাংলাতে টাইপিং অনলাইনে করতে পারা উচিত
ধন্যবাদ, আপনার কবিতার কথা গুলো খুব ভালো লেগেছে। আমরা কি আপনার আরও এমন কবিতা পাবো? আমি আপনাকে কোন প্রকার অফার করছি না। আমি আপনাদের সাথে ছোট একটি তথ্য ভাগ করতে চাই। আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে অফিস স্পেস ভাড়া অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া।
Post a Comment
<< Home